রাস্তায় যানজট, পথের দূরত্ব, অফিসে আসা-যাওয়ার বাড়তি খরচ-এমন অনেক দিক বিবেচনা করে বহু নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অনলাইনে চাকরি প্রার্থীর ইন্টারভিউ অনলাইনেই সেরে ফেলতে পছন্দ করছেন। করোনা-পরবর্তী অনলাইনে এ ধরনের সাক্ষাৎকার প্রদানের বিষয়ে সচেতন হচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরাও। জেনে নিন এ বিষয়ে কিছু টিপস
>> চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যায় অনেকের। কারও কারও নার্ভাস লাগে। এই জড়তা কাটানোর জন্য বাসায় আয়নার সামনে বসে কথা বলার অনুশীলন করা যায়। এছাড়া অহেতুক দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অনলাইনে ইন্টারভিউর সময় কথা বলার অভিব্যক্তি কেমন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগকর্তারা আত্মবিশ্বাসী ও যে কোনো পরিস্থিতিতে মানানসই প্রার্থীদেরই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।
>> ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় একটি শান্ত ঘর বেছে নিন। অনেক সময় অনলাইন ইন্টারভিউ দেয়ার সময় অনেক শব্দ কোলাহল চলতে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি নিয়োগকর্তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর ঠিকমতো শুনতে পান না। তাই সে ক্ষেত্রে আপনার উত্তর সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়ার জন্য আপনার একটি শান্ত নিরিবিলি ঘর প্রয়োজন যেখানে বাহ্যিক কোনো গোলমাল থাকবে না। এছাড়াও সব সময় পারলে ন্যাচারাল লাইট ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনার প্রতিচ্ছবি বা ভিডিও সুন্দরভাবে অন্য প্রান্তের চাকরিদাতার কাছে পৌঁছে যায়।
>> অনলাইন ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় সব সময় সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন, মেসেঞ্জার বন্ধ করে রাখবেন যাতে করে আপনি শান্ত মনে ইন্টারভিউ শেষ করতে পারেন
>> ইন্টারভিউয়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে রেডি হয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বসে মাইক, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা এগুলো চেক করে নিতে পারেন।
>> সম্ভব হলে আগেই পরিচিত কারও সঙ্গে ভিডিওকলে নমুনা ইন্টারভিউর ট্রায়াল দিতে পারেন, তাহলে নিজের ভুলত্রুটিগুলো শনাক্ত করতে পারবেন। ভিডিওতে অপর প্রান্তে আপনার অভিব্যক্তি কেমন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে কি না, শব্দ দুই প্রান্তে কেমন শোনাচ্ছে, ডিভাইসের কারিগরি ত্রুটি-সব কিছু আগে থেকেই জানা যাবে।