শিরোনাম
শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

শরিফ চাচার পাতার বাঁশি

শরিফ চাচার পাতার বাঁশি

শরিফ চাচার চায়ের দোকান ও পাতার বাঁশি

'হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার' বাঁশির মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিফ চাচার পাতার বাঁশিতে রয়েছে হৃদয়কাড়া সুর। তবে শরিফ চাচা মূলত একজন চা দোকানি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভবনের পিছনে তার দোকান। পাতার বাঁশির সুরের জাদুতে আবেগতাড়িত হয়ে শিক্ষার্থীরা তার দোকানে ছুটে আসে। চাচার বয়স ৭০ বছর হলেও কী অপূর্ব তার বাঁশির সুর। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীরা ছুটে যায় চাচার চায়ের দোকানে বাঁশির সুর শুনতে। বাঁশির সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ হয়ে চা খায় শিক্ষার্থীরা। তারা চাচার কাছে যখন তখন বাঁশির বাজানোর আবদার করলে তিনি কখনো না করেন না। শরিফ চাচা যে কোনো গাছের পাতা দিয়ে বাঁশি বাজাতে পারেন। তার বাঁশি থেকে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার সুর ভেসে আসে। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চা বিক্রি করে আসছেন। ১৯৫৪ সালে তিনি এ পাতার বাঁশি বাজানো শিখেন।

পরিবারে ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে ও স্ত্রী থাকলেও শরিফ চাচা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাঁশি বাজালেও মূলত তিনি চা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। এছাড়া তিনি আড় বাঁশি, ভেপু বাঁশিসহ বেশ কয়েক রকমের বাঁশি বাজাতে পারেন। চা বিক্রি করলেও বাঁশিই তার আনন্দ; বাঁশিই তার খেলা।

 

 

 

সর্বশেষ খবর