শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

এঙ্কিউজ মি...

অফিসের কোনো মিটিংয়ে কেউ হঠাৎ হাঁচি দিলে উপস্থিত সবাই বিরক্তি বোধ করেন। হাঁচি বা কাশিকে বাদ দেওয়া যায় না। এগুলো মানুষের শারীরিক কার্যক্রমেরই অংশ। এ পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে সামলাবেন তা নিয়ে লিখেছেন-

এঙ্কিউজ মি...

 

হাঁচি : নিজের কাছে রুমাল রাখুন। * হাঁচি দিলে রুমাল দিয়ে মুখটা আড়াল করে নিন। * হাঁচি সহজে চাপা যায় না , তা অস্বাস্থ্যকরও বটে। তাই হাঁচি দিয়ে 'এঙ্কিউজ মি' বলবেন অবশ্যই। * অনেকেরই হাঁচি হলে পরপর কয়েক বার হয়। এরকম হলে একটু আড়ালে বা ওয়াশ রুমে চলে যান। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসুন। * কোনো ফর্মাল গেট-টুগেদারে একটা হাঁচি কিন্তু ইম্প্রেশন খারাপ করে দেয়। রুমাল বা ন্যাপকিন না থাকলে হাত দিয়ে নাক-মুখটা ঢেকে নিন।* গুরুত্বপূর্ণ কথার মাঝখানে হাঁচি হলে অবশ্যই এঙ্কিউজ মি বলুন। * অ্যালার্জি থেকেও অনেক সময় হাঁচি হয়। যে কারণে আপনার হাঁচি হয় সেই পরিস্থিতি অ্যাভয়েড করুন। প্রয়োজনে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন। * হাঁচি থেকেও জীবাণু ছড়ায়। অন্য কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে খেয়াল রাখুন। সঙ্গে রুমাল রাখুন।

কাশি : কাশি হলে অবশ্যই হাত দিয়ে আপনার মুখ ঢেকে নিন। * খাবার টেবিলে কাশি হলে মুখ ঢেকে কেশে নিন। একটু পানি পান করুন, একসঙ্গে অনেক পানি পান করলে কিন্তু হিতেবিপরীত হতে পারে। * কাশির লক্ষণ থাকলে ব্যাগে চকলেট বা লজেন্স রাখুন। * কেশে নিয়ে অবশ্যই এঙ্কিউজ মি. দুঃখিত বা সরি বলতে ভুলবেন না। িঅনবরত কাশি হলে টয়লেটে গিয়ে কেশে গলা পরিষ্কার করে নিন। * এমনভাবে কাশি দেবেন যা অন্যের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে বা অন্যের অস্বস্তির কারণ না হয়।

হাসি : * ফর্মাল গেট-টুগেদারে আপনার ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে যতটা প্রয়োজন ততটাই হাসি বজায় রাখুন। * বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণ খুলে হাসুন। * অফিসে বা কাজের জায়গায় পরিস্থিতি অনুযায়ী হাসিকে নিয়ন্ত্রণ করুন। * কেউ হঠাৎ কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লে (চেয়ার থেকে ধপাস করে পড়ে গেলে বা একটা আছাড় খেলে) হাসি পেলেও চেপে রাখুন। * অচেনা জায়গায় সৌজন্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে অল্প হেসে কথা বলুন।

কি করবেন না-নাক টিপে হাঁচি দেবেন না, এটা দৃষ্টিকটু ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। * ইচ্ছা করে জোরে শব্দ করে হাসবেন না। * হাঁচি বা কাশির পর হাত না ধুয়ে অন্য কাজে হাত দেবেন না। * হাঁচি বা কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল যেখানে-সেখানে রাখবেন না বা অন্য কাউকেও ব্যবহার করতে দেবেন না। * কারও মুখের কাছে হাঁচি বা কাশি দেওয়া উচিত নয়। নিজের মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে একটু আড়াল করে কাশি বা হাঁচি দেওয়া উচিত। * কোনো বিয়োগান্তক অনুষ্ঠানে বা কারও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে হাসবেন না।

 

 

সর্বশেষ খবর