রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

সফল ব্যবসায়ী হতে হলে ...

শামছুল হক রাসেল

সফল ব্যবসায়ী হতে হলে ...

চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে কমবেশি অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসাসহ সব ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে দারুণ প্রসার ঘটছে। যদি সফল ব্যবসায়ী হতে চান তবে কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। কারণ যে কোনো কাজ শুরুর আগেই প্রাথমিক প্রস্তুতি ও সতর্কতা প্রয়োজন। ব্যবসায়ে সফল হতে সবার আগে আপনার অবশ্যই ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। বুঝতে হবে কি ধরনের ব্যবসায়ে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাচাই করতে হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন ব্যবসাটা এগিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনে মার্কেট জুড়িতে নামতে হবে। সে ধরনের ব্যবসায় মনোনিবেশ করে বুঝতে হবে এই ব্যবসার ঠিক কোন পণ্যটা কখন কিনলে আপনার মুনাফা বেশি হবে। ভোক্তা বা গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে যাবতীয় ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ গ্রাহকরাই ব্যবসার প্রধান ভরসা। তাদের সন্তুষ্টি আপনাকে দেখতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক অবশ্যই জোরদার হতে হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে তো বটেই, সাধারণভাবেও যাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে, তাদের সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। সততা হলো একজন সফল ব্যবসায়ীর অন্যতম প্রধান গুণ। একজন ভালো ব্যবসায়ী কখনোই ভেজাল পণ্য বিক্রির কথা ভাবতে পারেন না। পচা, নষ্ট পণ্য কখনোই বিক্রি করতে নেই। গ্রাহক যেন ভালো জিনিস এবং ওজনে সঠিক মাপ পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। ব্যবসায়ীর সততা দেখে যেন গ্রাহকরা তার কাছে ভিড় করে। পরিশ্রমী হতে না পারলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব। ব্যবসাকে ধ্যান-জ্ঞান ভেবে প্রতিষ্ঠানে পর‌্যাপ্ত সময় দিতে হবে। সবসময় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন মেটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। অধিকাংশ ব্যবসায়ের শুরুতে খুব বেশি লাভের মুখ দেখা যায় না। তাই বলে হতাশ হলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম বেশি মুনাফা না হলেও ধৈর্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাবেন। ওই সময় ব্যবসায় নতুন উদ্যোগ বা আইডিয়ার সন্নিবেশ ঘটাতে পারেন। খেয়াল রাখবেন,  প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়ে যায়। কারণ ব্যবসায় ধারাবাহিকতা না থাকলে সফলতার মুখ দেখা যায় না। ব্যবসা কেবল মুনাফা অর্জনের উপায়ই নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠানও বটে। অধিক মুনাফার জন্য অত্যধিক দামে পণ্য বিক্রির মানসিকতা পরিহার আবশ্যক। গ্রাহকদের প্রতি সহনশীল মানসিকতা ও অসচ্ছলদের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক। ব্যবসা শুরু করার পর যখন কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জিত হবে তখন ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করতে পারেন। এ সম্প্রসারণ হতে পারে দোকানে দ্রব্য বৃদ্ধি কিংবা দোকানের আয়তন বৃদ্ধি। ব্যবসার শাখা হিসেবে অন্য আরেকটি দোকানও দিতে পারেন। ব্যবসার সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে কিংবা ব্যাংক থেকেও লোন নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে  নতুন, পুরনো দুটি ব্যবসায়ই যেন সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। কারণ একটি অপরটির পরিপূরক। চাকরির স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেও সফলতার মুখ দেখা যায়। হওয়া যায় আত্মনির্ভরশীল। পরিবর্তন হয় নিজের ভাগ্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর