শিরোনাম
১৫ মার্চ, ২০১৮ ২০:২৬

'সরকার মামলার ফরম্যাট করে রেখেছে'

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:

'সরকার মামলার ফরম্যাট করে রেখেছে'

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মামলার ফরম্যাট করে রেখেছে। যখন যাকে খুশি তাকে ওই ফরম্যাটে ফেলে জেল-জুলুম করছে। বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, সরকার প্রধান সারাদেশে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট চেয়ে জনসভা করছে, আর আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না। আজ বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

নগরীর নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নুর আহমদ সড়কে এই জনসভা আয়োজন করা হয়। জনসভা সফল করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য কারো নামে স্লোগান না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু গতকাল জনসভাজুড়ে ছিল বিশৃঙ্খলা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখার সময়ও মাত্রাহীন স্লোগানের কারণে মাঝে মাঝে তাকে থামতে হয় এবং কর্মীদেরও থামাতে হয়। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দেন। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন নুর আহমদ সড়ক। নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। শোক প্রকাশ করে সিনিয়র নেতারা বুকে কালো ব্যাজও ধারণ করেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক,  গোলাম আকবর খোন্দকার, ফজলুল হক, বিএনপির চট্টগ্রাম সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন। লালদীঘিতে বিএনপির জনসভা করতে না দেওয়ায় প্রশাসনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে জনসভা আয়োজন করতে চেয়েছিলো বিএনপি। এজন্য অনুমতি চেয়ে ঘোষণাও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমতি না মেলায় নগরীর নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপি কার্যালয় ভবনের সামনে নুর আহম্মদ সড়কেই জনসভা আয়োজন করতে হয় তাদের। বুধবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেয় সিএমপি। এর আগে বিএনপির সমাবেশ আয়োজন নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন দলের নেতকর্মীরা। প্রশাসনের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সাবেক চসিক কাউন্সিলরসহ ৩০ বিএনপি নেতা কারাগারে
নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানসহ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিন এর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল।

কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন- নগরীর ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পদাক হাজী বাদশা মিয়া, মহানগর বিএনপির সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবের আহম্মদ, আবু কাওসার, মো. মামুন, আবু তাহের, সিরাজুল মোস্তফা, নাসিব খান, হামিদ উল্ল্যাহ, মো. ওয়াসিম প্রমুখ।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী   বলেন, ‘নাশকতার মামলায় পুলিশ আসামিদের জিজ্ঞাসবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ এর আগে ১৪ মার্চ রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালা পাড়া থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর