শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা
বিবি গভর্নর

নতুন নীতিমালায় খেলাপি দেখিয়ে ঋণ বন্ধ করা যাবে না

নতুন নীতিমালায় খেলাপি দেখিয়ে ঋণ বন্ধ করা যাবে না
নতুন নীতিমালায় খেলাপি দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান বন্ধ করা যাবে না বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিদের সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গতকাল এক বৈঠকে গভর্নর বলেন, মনে রাখতে হবে ঋণ শ্রেণীকরণের নতুন নীতিমালা হলেও 'খেলাপি ঋণ গ্রহীতা'র সংজ্ঞার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে গতকাল এমডিদের সঙ্গে এক বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিভ্রান্তি এড়াতে এমডিদের এভাবেই সতর্ক করেন গভর্নর। ঋণ খেলাপি ঘোষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি মানছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক ৩ মাসেই ব্যবসায়ীদের ঋণ খেলাপি ঘোষণা করে নতুন করে ঋণ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এখন আতঙ্কে আছেন ব্যবসায়ীরা। গভর্নর বলেন, খেলাপি হওয়ার সংজ্ঞা আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরই কেবল ঋণগ্রহীতা 'খেলাপি' হিসেবে বিবেচিত হবেন। এর ফলে কোনো চলমান, তলবি ও মেয়াদি (১০ লাখ টাকার ঊধের্্ব) ঋণ নিম্নমানে শ্রেণীকৃত হলেও গ্রাহক খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। এ ধরনের ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ নিম্নমান হিসেবে শ্রেণীবিন্যাসিত হলেও ঋণ প্রদানে কোনো বাধা নেই। তৈরি পোশাক খাতের ব্যাংক ঋণের সমস্যা সম্পর্কে গভর্নর বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও নিট গার্মেন্ট শিল্পের যেসব ঋণ হিসাব প্রকৃত স্টকলটের কারণে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করা এবং নতুন ঋণ প্রদানের বিষয়টি নমনীয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিজিএমইএ মিলে একটি সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কমিটির সহায়তা নিতে পারেন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, হরতাল ও বিশ্বমন্দার কারণে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে উল্লেখ করে গভর্নর এটি কমিয়ে আনতে এমিডদের প্রতি আহ্বান জানান। গভর্নর বলেন, সুদের হার কমতে শুরু করেছে, স্প্রেডও কমছে। ব্যাংকগুলো আরও সক্রিয় হলে সুদের হার অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই কমে আসবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর