সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

সিলেটে বিআরটিসির অবৈধ কাউন্টার

অবৈধ এসব কাউন্টারের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় টিকিট কিনেও সিট পান না

সিলেটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) কাউন্টার বাণিজ্যে যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিআরটিসি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা সিলেটে অবৈধভাবে কাউন্টার বসানোর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অবৈধ এসব কাউন্টারের মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকায় অনেকে টিকিট কিনেও বাসে সিট পাচ্ছেন না। এ ছাড়া টিকিট বিক্রি ও যাত্রী ওঠানো নিয়েও প্রতিদিনই কাউন্টারের দায়িত্বরতদের মধ্যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। বিআরটিসির সিলেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এভাবে কাউন্টার খোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জানা যায়, সিলেট থেকে কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চাঁদপুর ও নোয়াখালীতে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। বাসের টিকিট বিক্রির জন্য ২০১২ সালের ১৪ মার্চ বিআরটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) সিলেটে কাউন্টার চালুর অনুমতি দেন শামীম কবির, তৌফিক বকস লিপন ও আবদুল আলিম নামের তিনজনকে। একই বছরের ২৩ অক্টোবর বিআরটিসির নীতিমালা উপেক্ষা করে সিলেট ডিপোর কোনো মতামত না নিয়ে কুমিল্লার ব্যবস্থাপক মাসুদ তালুকদার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামকে টিকিট বুকিং কাউন্টার খোলার অনুমতি দেন। এ অনুমতিপত্রের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে উচ্চ আদালতে রিট করেন শামীম কবির। এ রিটে দুই দফায় নয় মাসের জন্য নতুন কাউন্টার স্থাপনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। নতুন কাউন্টার স্থাপনের বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১১ জুন নোয়াখালীর সোনাপুর ডিপোর ম্যানেজার ওমর ফারুক মেহেদী সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পাঠানপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা শমসের সিরাজকে চারটি কাউন্টার চালুর অনুমতি দেন। শামীম কবিরদের যে চার স্থানে কাউন্টার চালুর অনুমিত দেওয়া হয় ঠিক একই স্থানগুলোয় শমসের সিরাজকেও কাউন্টার চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। এক মাসের মাথায় ১৬ জুলাই এই বিআরটিসির কর্মকর্তা ফারুক মেহেদীই দক্ষিণ সুরমার মোহাম্মদ আবদুল্লাহকেও কাউন্টার চালুর অনুমতি দেন। একই স্থানে একাধিক ব্যক্তি একাধিক কাউন্টার খুলে বসায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেও বাসে গিয়ে সিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। আবার অনেক সময় অবৈধভাবে চালু করা কাউন্টারগুলোর সামনে বাস থামিয়ে সিট খালি না থাকলেও জোর করে যাত্রীদের বাসে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কাউন্টার মালিকদের প্রায়ই তর্কাতর্কি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে বিআরটিসি সিলেটের ডিপো ম্যানেজার নুরে আলম বলেন, নিয়ম না মেনেই সিলেটে বেশ কিছু কাউন্টার দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর