সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

সমঝোতা করতে হবে অসাংবিধানিক সরকার ঠেকাতে

সমঝোতা করতে হবে অসাংবিধানিক সরকার ঠেকাতে

রাজনৈতিক অস্থিরতায় কোনো অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসুক তা কেউ চান না। তেমনি বিএনপিও চায় না। আর অসাংবিধানিক সরকার ঠেকাতে হলে দুই দলকেই সমঝোতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এস এম এ ফায়েজ। শনিবার চ্যানেল একাত্তরে টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। নবনীতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারি।

ড. ফায়েজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী অসাংবিধানিক সরকারের আশঙ্কা করেছেন। তিনি অসাংবিধানিক সরকার এলে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না বলে হুঁশিয়ারি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকার মধ্যে কী কারণে অসাংবিধানিক সরকার এসেছে তা একটু ভেবে দেখা উচিত। ২০০৭ সালে যে ঘটনা ঘটেছে তা তো রাজনৈতিক দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্ব থেকে। ২০০৬ সালের নির্বাচনে কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবেন এই নিয়ে সমঝোতা হয়নি। ফলাফল সামরিক ঘরানার একটি সরকার এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমানের সংকট তো একই ধরনের। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক ছিল না। এটাকে এক দিনের মধ্যে আইন করে পরিবর্তন করতে হলো কেন? যেখানে আদালত বলেছেন আরও দুই মেয়াদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে।

সাবেক উপাচার্য বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সবাই চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটা করতে হবে। আওয়ামী লীগের অনেকে বলেন, নির্বাচন হবে, বিএনপিও নির্বাচনে আসবে। আমার মনে হয় বিএনপিকে এভাবে নির্বাচনে আনা খুবই কঠিন হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি চাচ্ছে সংবিধানের মাধ্যমে একটি সংশোধন হোক। একদিনে আইন পাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি জটিল করে তোলা হয়েছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো সমঝোতা হবে বলে মনে হয় না। সংবিধানের ভেতরে থাকতে হবে। অনেক দেরি করে ফেলেছি আমরা। সরকার বলছে তিন মাস সময় বাড়াবে। সাংবিধানিক ভাবে যদি এটা সঠিক হয় তবুও ওটা করা উচিত হবে না। কারণ মানুষ সেটা গ্রহণ করবে না। বরং জটিলতা আরও বাড়বে।

সম্প্রতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ হয়তো দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। দলীয় কর্মীদের মধ্যে আত্দবিশ্বাস তৈরি করতে এ ধরনের বক্তব্য দিতেই পারেন।

 

 

সর্বশেষ খবর