শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা

ফন্টেরার দুধ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই মন্ত্রণায়ের

ফন্টেরার গুঁড়াদুধ (শিশুখাদ্য) নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হলেও ঘুমিয়ে আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টি বলছে এ ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই। তবে মানব শিশুর জন্য অনুপযোগী বা ক্ষতিকর সব ধরনের গুঁড়াদুধ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফন্টেরার জন্য নির্দিষ্টভাবে তারা কিছু করছেন না। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিএসটিআই ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফন্টেরার উৎপাদিত দুধ মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। এদিকে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ফন্টেরার যেসব চালান বন্দরে এসেছে, সেগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জব্দ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিএসটিআই এর নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্থাটি প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে বহুসংখ্যক ভোক্তা বা ক্রেতা ফোন করে ফন্টেরার বিষয়ে জানতে চান। এ ব্যাপারে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা জানান তাদের সন্তানকে কি ধরনের দুধ খাওয়াবেন। বাজারে নিরাপদ কোনো শিশুখাদ্য আছে কি-না সরকার এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানাচ্ছে না।

জানা গেছে, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গুঁড়াদুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউজিল্যান্ডের ফন্টেরার দুধ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবার তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের প্রধান গুঁড়াদুধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফন্টেরা থেকে দুধ আমদানি করায় দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া গুঁড়াদুধ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, তাদের হিসাব মতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ফন্টেরা থেকে ২০ হাজার ৭৪১ টন দুধ বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশে আমদানি করা দুধের যত চালান আসে তার ৮০ শতাংশই ফন্টেরার বলে তারা জানান। এসব দুধই আমদানিকারকরা বিভিন্ন নামে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফন্টেরা থেকে আমদানি করা প্রায় ২০ হাজার টন দুধ বর্তমানে প্যাকেটজাত হয়ে বাজারে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর