ছিনতাই করা টাকা রেখে পুলিশ ছিনতাইকারীদের দল নেতাকে ছেড়ে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবশ্য রূপসা থানার ওসি আলি নেওয়াজ বলেন, পুলিশ পৌঁছার আগেই ছিনতাইকারী জাহিদ কৌশলে পালিয়ে যায়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনার রূপসা উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ী সলেমান সরদার ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিলক গ্রামের পানির হাউসের সামনে এলে মোটরসাইকেল আরোহী তিন ছিনতাইকারী ইজিবাইকের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে চামড়া ব্যবসায়ী সলেমানের কাছে থাকা ৩২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সলেমান সরদার বিষয়টি কুদির বটতলায় তার পরিচিতদের জানালে তারা সম্মিলিতভাবে তিন ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে রূপসা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তিন ছিনতাইকারীকে তাদের জিম্মায় নেয়। এ সময় পুলিশ ছিনতাই করা টাকা রেখে দলনেতা জাহিদকে ছেড়ে দেয়। বাকি দুই ছিনতাইকারী খুলনার পশ্চিম বানিয়াখামারের সায়মন ও টুটপাড়ার ইউনুসকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি বড় ছোরা জব্দ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, পুলিশ ছিনতাইকারীদের নেতা জাহিদকে ছেড়ে দেওয়ায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কুদিরবটতলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ছিনতাইকারীদের দলনেতাকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে রূপসা থানার ওসি আলি নেওয়াজ বলেন, পুলিশ পৌঁছার আগেই ছিনতাইকারী জাহিদ কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সলেমান সরদার বাদী হয়ে ছিনতাই মামলা করেছেন।