শিরোনাম
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
সংস্কৃতি

ঢাকায় শুরু হলো শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় উৎসব

সুর, তাল, লয়, খেয়াল, রাগের সঙ্গে নাচের দৃষ্টিনন্দন মুদ্রার দোলে রাজধানীর চিরচেনা আর্মি স্টেডিয়াম অচেনা সুরের ভুবনে পরিণত হয়েছে। রাগপিয়াসী শ্রোতারাও যেন হারিয়ে গেলেন আবেগ-ভালোবাসা মিশ্রিত পরিবেশে। মঞ্চ থেকে সেতার, বাঁশি, বেহালাসহ নানা সুরের সঙ্গে শিল্পীর কণ্ঠ থেকে অমিয় সুধা ঝরে পড়লেও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। পরম ভালোলাগা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সুরে গোটা স্টেডিয়াম হয়ে উঠেছিল শাস্ত্রীয় সংগীতের এক অনিন্দ্যসুন্দরের নতুন মাত্রায়। গতকাল এমনটিই লক্ষ্য করা গেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিস এসআরের যৌথ আয়োজনের শাস্ত্রীয় সংগীতের বৃহত্তর উৎসবের উদ্বোধনীতে।

সন্ধ্যায় আর্মি স্টেডিয়ামে উৎসবের উদ্বোধন করে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, শাস্ত্রীয় সংগীতের এ ধারা অব্যাহত থাকলে উপমহাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীতের নবজাগরণ সৃষ্টি হবে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমির নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের শতবর্ষের স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মমতাজ খালেদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। চর্যাপদ থেকে বর্তমান সময়ে বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে ভিন্নধর্মী নাচের পরিবেশনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় চার দিনব্যাপী এ উৎসবের মূল আয়োজন। এরপর কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন ভারতের শিল্পী বশাল কৃষ্ণা। কণ্ঠ সংগীতে ছিলেন গিরিজা দেবী, বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তী, পণ্ডিত রাজন, পণ্ডিত সাজন মিশ প্রমুখ। সুরের ঝংকার তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মনোহরণকারী সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের মন দুলতে থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর