শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

বরিশাল মেডিকেলের সরকারি ওষুধ রোগীরা পাচ্ছেন না

নেপথ্যে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র বাণিজ্য

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারিভাবে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হলেও তার বেশিরভাগই রোগীরা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ নিত্যদিনের। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে মাসহারা নিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের সরকারি ওষুধ স্লিপে না লিখে বেসরকারি কোম্পানির ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন সরকারি চিকিৎসা সুবিধা নিতে আসা অসহায় দরিদ্র রোগীরা। সূত্র জানায়, গত অর্থ বছরে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৪ কোটি টাকার ৩৩৮ ধরনের ওষুধ কেনা হয়। ওই অর্থ বছরে মেডিকেলের আন্ত ও বহির্বিভাগ মিলে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮১ জন রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়। হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ হাজার ২৮১ জন রোগী সেবা পান। সে হিসাবে রোগী প্রতি ৪৫ টাকার ওষুধ পাওয়ার কথা। কিন্তু ভর্তি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের বেশিরভাগই প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। তাদের স্লিপে বিভিন্ন ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গত ১ জানুয়ারি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন বেতাগীর ছোপখালী গ্রামের রবিউল মোল্লা। ভর্তির পর থেকে প্রতিদিন নামমাত্র ওষুধ সরবরাহ করা হয়। বেশিরভাগ ওষুধ তাকে কিনতে হয় বাহির থেকে।

বাকেরগঞ্জের নেয়ামতি গ্রামের রেহেনা বেগম মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ও উজিরপুরের রিংকু আক্তার লেবার ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েক দিন ধরে। তারা জানান, মাঝে মধ্যে নার্সরা বিনামূল্যের কিছু ওষুধ দিলেও বেশিরভাগই কিনতে হয়েছে বাইর থেকে। চিকিৎসকের কাছে বিনামূল্যের ওষুধ চেয়েও পাচ্ছেন না রোগীরা। 'সরবরাহ নেই' বলে প্রতিনিয়ত রোগীদের সরকারি ওষুধ বঞ্চিত করছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে মেডিকেলের এক শ্রেণীর কর্মচারী ভাণ্ডার থেকে নামে-বেনামে ওষুধ চুরি করে তা বাইরে বিক্রি করছেন। মাঝে মধ্যে ওষুধ চুরির ঘটনা ধরা পড়লেও তদন্তের নামে তাদের আড়াল করে রাখা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামরুল হাসান সেলিম বলেন, মেডিকেলের স্টোরে প্রচুর ওষুধ মজুদ আছে। কোনো চিকিৎসক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে বিনামূল্যের ওষুধ না লিখলে সরকারি ওষুধ দেওয়া সম্ভব নয়।

 

 

সর্বশেষ খবর