শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে পুনরায় উদ্ধার অভিযানের দাবিতে মানববন্ধন

সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি অভিযানসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল সমাবেশ এবং মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। মানববন্ধন শেষে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্পশ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট ও টেঙ্টাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের আট মাস পার হলেও এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে মাথার খুলি, হাড়গোড়সহ মৃতদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করছে পথশিশুরা। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এক শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে পুনরায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ নিহত, নিখোঁজ ও আহত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, রানা প্লাজা ধসে হতাহতদের নিয়ে একটি চক্র বাণিজ্য শুরু করেছে। তাদের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর যারা মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, এখনো অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের হাড়গোড় আজও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে আছে। মাঝেমধ্যেই তা বের করে আনছে পথশিশুরা। আর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো গরুর হাড়গোড়। অতিদ্রুত ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হাড়গোড় ও মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি হাড়গোড় নিয়ে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। টেঙ্টাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবু হোসাইন বলেন, এখনো অনেক শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পাননি। বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য আসছে। এ সাহায্যের অর্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে গিয়ে পৌঁছে সে ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এখনো অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ধ্বংসস্তূপে তল্লাশির আহ্বান জানান তিনি। গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্পশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো নিখোঁজদের স্বজনরা রানা প্লাজার সামনে লাশ খুঁজে বেড়ান, তাদের কান্নায় এলাকার বাতাস প্রায়ই ভারী হয়ে ওঠে। কিন্তু এ কান্নার রোল প্রশাসনের দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছে না। এ কারণেই ধ্বংসস্তূপে হাড়গোড় বের হওয়ার পরেও সেখানে তল্লাশির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বরং তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর