বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

নতুন বাজেট তৈরির আনুষ্ঠানিকতা শুরু

২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। অর্থ বিভাগ বলছে, এবারের বাজেট হবে সম্পদ-চাহিদার ভারসাম্যের ভিত্তিতে। বাজেট কাঠামো ঠিক করতে ইতিমধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে চাহিদাপত্র গ্রহণ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চাহিদাপত্র পর্যালোচনা ও বরাদ্দের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করতে পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ বিভাগ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ডেকেছেন অর্থ সচিব ফজলে কবীর। আগামী ৪ মার্চ এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ ফেব্র“য়ারি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেদিনের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের বাজেট কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। সেই সঙ্গে রীতি অনুযায়ী পরের দুটি অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের কাঠামোর বিষয়েও আলোচনা হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবারের বাজেট কাঠামোতে সামান্য কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে অর্থ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কোন মন্ত্রণালয়ে কী পরিমাণ বরাদ্দ প্রয়োজন, বাজেটের মূল আকার কত হবে, আয়-ব্যয়ের খাত নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর চুলচেরা আলোচনা করা হবে বৈঠকে। চলতি বাজেটে বিশাল ভর্তুকির চাপ সামলাতে সরকার ইতিমধ্যে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর সরকারের সব ধরনের আয় কমে গেছে। এ জন্য ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে আগামী বাজেটে। বাজেটের মূল আকার চলতি বাজেটের চেয়ে খুব একটা বাড়ানো হবে না বলে অপর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্টেকহোল্ডার চেম্বার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় মিলিত হবে।
 

সর্বশেষ খবর