গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশ এক অদ্ভুত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে স্বনির্বাচিত সরকার নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে দাবি করছে। সংসদ, অফিস-আদালত, শিক্ষা, ধর্মীয়, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একদলীয় আধিপত্য। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলটির ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয়েছে একের পর এক একমুখী আইন। বিচারকসহ সব সাংবিধানিক পদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের নামে কার্যত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ। বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সাবেক এ সমন্বয়ক বলেন, বর্তমান সরকার এবং আগের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উভয়েই বিদেশি প্রভুদের ওপর নির্ভর করে দেশ চালায়। বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থের নীতি অনুসরণ করে চলে।
গণসংহতি আন্দোলনের পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল সালাম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক আবদুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের পরিচালনা কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ, আবুল হাসান রুবেল, তাসলিমা আখতার, আরিফুল ইসলাম, বিপ্লবী নারী সংহতির আহ্বায়ক অধ্যাপক শ্যামলী শীল, নারীনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী রেবেকা নীলা, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সোহেলসহ গণসংহতির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের স্লোগান ছিল, ‘মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষায় জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হোন।’