মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
স্থায়ীকরণের উদ্যোগ নেই

হতাশায় জবির মাস্টাররোল কর্মীরা

হতাশায় জবির মাস্টাররোল কর্মীরা

চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দৈনিক হাজিরাভিত্তিক (মাস্টাররোল) কর্মচারীরা। বছরের পর বছর ধরে কর্মরত থেকেও তারা স্থায়ী নিয়োগ পাচ্ছেন না। এতেকরে হতাশার পাশাপাশি নাজুক অবস্থায় চলছে তাদের সংসার জীবন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, দৈনিক হাজিরাভিত্তিক নিয়োগগুলো হয় ‘কানামনা’ (কাজ নাই, মজুরি নাই) ভিত্তিতে। স্থায়ী করার সম্ভাবনা খুবই কম- এ কথা জানিয়েই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা গেছে, হাজিরাভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্ন কর্মী, এমএলএসএস, অফিস সহকারী ও কেরানিসহ বিভিন্ন পদে অন্তত ২৫২ জন নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ ১০ বছর ধরেও কর্মরত আছেন। সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি, গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ছুটিতে অন্য কর্মচারীরা যখন অবসর যাপন করেন, তখন হাজিরাভিত্তিক এসব কর্মচারীদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না। এ সময় তাদের ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। এ ছাড়া এমন অবস্থার কারণে স্থায়ী ও দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক বৈষম্যও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একদিকে নিজের সংসারে জোড়াতালি এবং অন্যদিকে বেতন বৈষম্য ক্ষোভে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা। দৈনিক হাজিরাভিত্তিক এক কর্মচারী জানান, প্রায় সাত বছর ধরে সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। চাকরি স্থায়ীকরণে বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এতে তাদের জীবন সংসার চরম দুর্দশায় ও জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নানা ধরনের কাজে যে পরিমাণ লোকবল দরকার, সেই পরিমাণ পদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে দেওয়া হয়নি। যার জন্য দৈনিক হাজিরাভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে এসব কাজ চালানো হয়। আর তাদের মজুরি প্রদান করা হয় নিজস্ব ফান্ড ও সরকারের বিভিন্ন থোক বরাদ্দ থেকে। সূত্র জানায়, নিয়োগের পর বিভিন্ন সময় চাকরি স্থায়ীকরণের আশা বরাবরই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আন্তরিকতার অভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, যারা দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মরত আছেন, তাদের স্থায়ীকরণের কোনো সম্ভাবনা নেই। তা করতে হলেও ১০-১২ বছর সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর