বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে শিবিরের শক্ত ভিতের নেপথ্যে বিয়ে!

রাজশাহীতে শিবিরের শক্ত ভিতের নেপথ্যে বিয়ে!

রাজশাহীতে হরতাল-অবরোধ চললেই পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবির কর্মীরা। গত দুই বছরে শিবিরের নাশকতার টার্গেট ছিল মূলত পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবারও এমন হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের দুই সদস্য। তবে হামলার সঙ্গে জড়িতরা চিহ্নিত হলেও গ্রেফতার হয় না।

গ্রেফতার না হওয়ার কারণ কি- জিজ্ঞাসা করতেই নগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, ওরা স্বাধীনতার পর থেকে রাজশাহীতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। বিয়ে করে সম্পর্কের জাল বুনেছে শিবির কর্মীরা। তাই এখানে শিবিরের ভিত শক্ত। তিনি বলেন, ওদের শক্ত ভিতে আঘাত হানতে এবার পুলিশ ছাড় দেবে না। তবে রাজনৈতিক নেতাদের মতে, পুলিশের শৈথিল্য ও আইনি পদক্ষেপের দুর্বলতার কারণে শিবির এমন সুযোগ পাচ্ছে। ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে পুলিশ সদস্যের অস্ত্র কেড়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে শিবির কর্মীরা। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ বোমা মেরে হাত উড়িয়ে দেয় পুলিশের শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শক মকবুল হোসেনের। পরদিন ১ এপ্রিল শালবাগান এলাকায় পুলিশের আর্মড উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেয়। পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী, মেহেরচণ্ডী, বুধপাড়া, শাহ মখদুম থানার শালবাগান, রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা এলাকায় শক্ত অবস্থান জামায়াত-শিবিরের। এসব অঞ্চলে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিয়ে করে দীর্ঘদিন নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে শিবির কর্মীরা। ফলে নাশকতার পর ওইসব এলাকায় অভিযান চালালেও হোতারা পুলিশের নাগালে আসে না। রাজশাহী সদর আসনের এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, শুধু সম্পর্কের জাল বুনে তারা শক্তিশালী হয়নি। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে তারা শক্ত অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ করে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর