বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

৫০ লাখ গাছ কেটে শিল্পাঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ

হুমকির মুখে বন্যপ্রাণী জীববৈচিত্র্য

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাত হাজার ৭১৬ একর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ম্যানগ্রোভ ও নন ম্যানগ্রোভসহ প্রায় ৫০ লাখ গাছ কেটে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হবে। বনবিভাগ এক জরিপ প্রতিবেদনে জানায়, গাছ কাঠার পরিণতিতে উপকূলীয় এই বনাঞ্চলে বিচরণকারী হরিণ, বানর, সাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি তারা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। ১৯৯৭ ও ১৯৯৫ এ প্রকাশিত গেজেটে ফেনী নদীর পাড় থেকে টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত ১ লাখ ৯৫ হাজার একর ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। শিল্পায়নে বনাঞ্চল উজাড় প্রসঙ্গে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা (ডিএফও) আর এস এম মুনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিমত হলো- কোনোভাবেই সংরক্ষিত এই অঞ্চলকে ইকোনমিক জোনের আওতাভুক্ত করা উচিত হবে না। তবে কেবল মিরসরাই নয়, প্রস্তাবিত অপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আনোয়ারায়ও ২০৫ দশমিক ৬ একর বন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, গত বছরের ১১ মে প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী 'টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস অব ফিজিবিলিটি ফর ইকোনমিক জোন স্থাপন প্রসঙ্গ' শীর্ষক একটি পত্র (স্মারক ২২.০১.০০০০.৭৫৮.০৮. ৪৮. ২০১৪.১৪০৪ তাং ২৯.০৪.১৪) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান। এতে উল্লেখ করা হয়, 'জাতীয় বননীতি অনুযায়ী সংরক্ষিত বন বনায়ন ব্যতীত ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় না। সংরক্ষিত বনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা প্রচলিত বন আইন ১৯২৭-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। মিরসরাই ও আনোয়ারা উপজেলার প্রস্তাবিত এলাকায় ইকোনমিক জোন স্থাপন করা হলে সংশ্লিষ্ট বনভূমিতে বিরাজমান পঞ্চাশ লক্ষাধিক ম্যানোগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সর্বশেষ খবর