শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
দর্শকের ভূমিকায় পরিবেশ অধিদফতর

সিলেটে টিলা কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে বসতি

সিলেটে টিলা কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে বসতি

সিলেটের জাহাঙ্গীর নগরে টিলা কাটার ধ্বসের আশঙ্কায় থাকা কয়েকটি বসতঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেট শহরতলীর টিলাঘেরা এলাকা জাহাঙ্গীরনগর। টিলার ফাঁকে ফাঁকে বাসাবাড়ি। বর্ষার শুরু থেকেই এই এলাকায় অভিনব কৌশলে চলছে টিলা কাটা। স্থানীয় একটি চক্র রাতের বেলা শ্রমিক লাগিয়ে কাটছে টিলা। বৃষ্টিতে টিলার বালু-মাটি গিয়ে পড়ছে পাশের ছড়াগুলোতে। পরে ছড়া থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। অবাধে টিলা কাটার ফলে হুমকিতে পড়েছে ওই এলাকার জনবসতি। টানা বর্ষণ বা ভূমিকম্পে ভূমিধসের শঙ্কায় রয়েছে টিলার আশপাশের বসবাসকারীরা। সিলেটে টিলা কাটার উৎসব চললেও জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পরিবেশ অধিদফতর। সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গুয়াবাড়ি জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- বেশ কয়েকটি টিলা কেটে মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ছড়া দিয়ে নেমে আসা টিলার বালু-মাটি উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে কয়েকটি স্থানে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়- রাতের বেলা ওই এলাকায় শ্রমিক লাগিয়ে টিলা কাটা হয়। বৃষ্টি হলে টিলার বালু-মাটি ছড়ায় গিয়ে পড়ে। পরে ছড়া থেকে বালু-মাটি উত্তোলন করে ট্রাক দিয়ে বিক্রি করা হয়। অভিনব এই কৌশলে টিলা কাটার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিক আহমদ, রাজ্জাক খান, ফজলু মিয়া ও সজীব খান জড়িত রয়েছেন বলে জানান তারা। সরেজমিন দেখা যায়, টিলা কাটার ফলে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। টিলার মালিক সুবিদাবাজার লন্ডনী রোডের বাসিন্দা দিলওয়ার খান জানান, গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় কিছু লোক টিলা কেটেছিল। স্থানীয় যুবক সজীব খান নিজেকে বালু ব্যবসায়ী দাবি করে বলেন, টিলা কাটার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। টিলা কাটার কথা অস্বীকার করেন টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. ছালাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জনবল সংকটের কারণে টিলা কাটা ঠেকানো যাচ্ছে না। তারপরও খবর পেলেই লোক পাঠানো হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগরে টিলা কাটা পরিদর্শনে লোক পাঠানো হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর