শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

আতঙ্কে বিলবোর্ড ব্যবসায়ীরা

আতঙ্কে বিলবোর্ড ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম নগরীর বৈধ-অবৈধ বিলবোর্ড ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী নেতারা। গেল পাঁচ বছরে বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ মনজুর আলম মেয়র থাকাকালেও ৮০ ভাগ বিলবোর্ড ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ছিল যুবলীগ-ছাত্রলীগের হাতে। এ নিয়ে মনজুর আলমের প্রতি নগর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা উষ্মা প্রকাশ করলেও তিনি তাদের প্রতি ছিলেন বিমুখ। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন মহিউদ্দিন অনুসারী বিলবোর্ড ব্যবসায়ী নেতারা। চসিক সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের নীতিমালার তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র স্থাপন করা অবৈধ বিলবোর্ড সরাতে নোটিস দিলেও তা মানছেন না নিয়ন্ত্রণকারীরা। সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী অবৈধ বিলবোর্ড রয়েছে ৩১২টি। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, প্রকৃত অর্থে অবৈধ বিলবোর্ডের এ সংখ্যা অন্তত দেড় হাজার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বৈধ-অবৈধ বিলবোর্ড ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিকটতম অনুসারী নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। এর পরই রয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, যুবলীগ সদস্য সনৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ওয়াসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরশাদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৌমেন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, এমইএস কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব, মহসীনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। এর বাইরে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আকবরও বিলবোর্ড ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর