মৃত ছেলের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল ও সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন এক মা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে বয়সে ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। মৃত সন্তানের পরকালে কল্যাণের জন্য রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে এ আবেদন জানিয়েছেন বাগমারা উপজেলার তক্তপাড়া গ্রামের আমেনা বেওয়া (৮৩)। মায়ের অভিযোগ ও আবেদন আমলে নিয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) এমএম সামিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বুধবার তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের তক্তপাড়া গ্রামের আমেনা বেওয়ার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার ছয় ছেলের মধ্যে আবদুল মালেক সবার ছোট। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পাঁচ বছর আগে ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গত বছর তিনি মারা যান। জীবিত অবস্থায় জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ওই সময়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত (মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র নম্বর ০৫০৭০৫০৩৩২) হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তিনি ভাতার জন্যও নির্বাচিত হন।
মৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাই আমজাদ হোসেন জানান, তিনি পিতা-মাতার দ্বিতীয় ছেলে। আবদুল মালেক পিতা-মাতার ষষ্ঠ ছেলে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স অন্য বড় ভাইদের চেয়ে বেশি দেখানো হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে মালেকের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৭ এবং তার বড় ভাই মৃত আবদুল মান্নানের জন্ম তারিখ ২ মে ১৯৬২ উল্লেখ রয়েছে।