বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের বেশির ভাগ নৌযানই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাইরে রয়ে গেছে। ফলে এগুলো পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেকটাই অনিরাপদ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছে জাহাজ শিল্পের আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ‘রিনা’। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে যাত্রী ও পণ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে অনুমোদন ও ইনস্যুরেন্স পর্যন্ত রিনা’র সংশ্লিষ্টতা থাকছে। তাই অভ্যন্তরীণ নৌযান নির্মাণে মানদণ্ড সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে রিনা-বাংলাদেশ অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে জাহাজ শিল্পের পরিবর্তন ও সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে শ্রেণিবিন্যাস, অনুমোদন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুসরণ বিষয়ে অবহিত করেন জাহাজ নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে রিনা’র কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যালয় প্রতিষ্ঠা পায় ২০১২ সালে। আর দেশের শীর্ষ পর্যায়ের শিল্প-প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্র“পের হাত ধরেই এ দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন রিনা’র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জর্জিও স্যালেত্তি। যার মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা গ্র“পের সব জাহাজই এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড সংবলিত। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী নৌযানের জন্য ওই মানদণ্ড অনুসরণ শুরু করেছে। গতকাল ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ম. তামিম, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর এম জাকিউর রহমান ভ‚ইয়া। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের ওপর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া রিনা আন্তর্জাতিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন জোসিইউ ভেজ্জতো। জাহাজ ভাঙা শিল্প নিয়ে বক্তব্য দেন ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী। বিষয়ভিত্তিক আরও বক্তব্য দেন রিনাÑ বাংলাদেশের শেখ অহিদুল ইসলাম, আসলাম খান।