বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জেএমবির অর্ধশত সদস্য সক্রিয়

মাসুদ রানার জবানবন্দি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

রংপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) অর্ধশত সদস্য সক্রিয়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের চাকরির আড়ালে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। আবার কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখাও করছেন। জেএমবির পীরগাছা-কাউনিয়া অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মাসুদ রানাকে জাপানের নাগরিক হোশি কোনিও ও খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার আসামি দেখিয়ে গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।  হোশি কোনিও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, জেএমবি কমান্ডার মাসুদ রানা তার জবানবন্দিতে ৩ অক্টোবর হোশি কোনিও, ১০ নভেম্বর মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যা এবং ৮ নভেম্বর বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া রংপুরে তার দলের আরও অর্ধশত সদস্য সক্রিয় থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার রাতে পীরগাছা উপজেলা কল্যাণী ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া থেকে জেএমবি সদস্য এসহাক আলীকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসহাককে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এই পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার বাড়ি থেকে ৩ ডিসেম্বর ভোরে মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাসুদ রানার দেওয়া তথ্যানুযায়ী তার বাড়ির পুকুর থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা হাতবোমা তৈরির ৫৪টি লোহার কৌটা ও তিনটি ধারালো বড় ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে মাসুদ রানার জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলায় জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। 

জানতে চাইলে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর বলেন, জেএমবি কমান্ডার মাসুদ রানার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর