শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৬৬৮ পদ শূন্য

ব্যাহত হচ্ছে রাজস্ব আদায়সহ নিয়মিত কাজ

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়, দাফতরিক কাজসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ৬৬৮টি শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৮৭টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২২টি, তৃতীয় শ্রেণির ২৪২টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ১৭টি রয়েছে। প্রথম শ্রেণির শূন্য পদগুলোর মধ্যে যুগ্ম কমিশনার থেকে প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষকের পদও রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ৪৮৭ পদের মধ্যে ৩১৫টিই খালি। যার কারণে রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টির পাশাপাশি অপরাপর কার্যক্রমও মন্থর গতিতে চলছে বলে জানা গেছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, জনবল সংকটের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে সময়ের কাজ সময়ে হচ্ছে না। সেই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ ব্যবহারকারীরা যথাযথ সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাস্টমসের প্রায় প্রতিটি দফতরেই রয়েছে লোকবল সংকট। তম্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়টি দফতরে লোক না থাকায় পর্যাপ্ত কাজ হচ্ছে না। বিশেষ করে যুগ্ম কমিশনার পদে পাঁচজনের স্থলে রয়েছে তিনজন। ডেপুটি কমিশনার পদে ১৬ জনের স্থলে রয়েছে মাত্র তিনজন, ১৩টি পদ খালি। কাস্টমসের অনেক কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালিত হলেও প্রোগ্রামার পদে মঞ্জুরিকৃত দুজনের একজনও নিয়োগ হয়নি। একইভাবে আমদানি পণ্য পরীক্ষণের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ দফতরের একজন প্রধান ও তিনজন উপপ্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক এবং দুজন রাসায়নিক পরীক্ষক পদের সবগুলোই শূন্য। তবে মংলা কাস্টমস হাউসের দুজন পরীক্ষক এখানে ডেপুটেশনে রয়েছেন। এছাড়া সহকারী কমিশনার পদে ৪৭ জনের স্থলে রয়েছেন ৩৪ জন, ১১৯ জন রাজস্ব কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ৭৬ জন, বাকি পদগুলো শূন্য। এর বাইরে প্রথম শ্রেণি কর্মকর্তা মর্যাদার একজন আইন উপদেষ্টা, দুজন আইন কর্মকর্তা থাকার মঞ্জুরি হলেও রয়েছেন মাত্র  একজন  আইন কর্মকর্তা। একইভাবে দুজন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও দুজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদ থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পদও দীর্ঘদিন খালি। দুজন অডিটরের স্থলে একজনেরও নিয়োগ নেই। ফলে কাস্টমসের আইন ও হিসাবরক্ষণ বিভাগে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

লোকবল সংকট প্রসঙ্গে কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার আজিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেক নিয়মিত ও অতিপ্রয়োজনীয় পদে লোক নেই। যার ফলে রাজস্ব আদায়ই শুধু নয়, ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত দাফতরিক কাজও। বিশেষ করে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ৩১৫টি পদ খালি থাকায় রাজস্ব আদায়ে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর