ঘোষিত অষ্টম পে-স্কেলে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের গ্রেডবৈষম্য দূরীকরণসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে এ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ (বাসসকপ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শফিউল আজম। বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়— একই যোগ্যতা নিয়ে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলেও শুধু নন-ক্যাডার হওয়ার অপরাধে তারা চাকরিতে বৈষম্যের শিকার। ক্যাডাররা অষ্টম গ্রেডে ও নন-ক্যাডাররা নবম গ্রেডে যোগদান করেন। ৩০-৩২ বছর চাকরি করেও নন-ক্যাডাররা কোনো পদোন্নতি পান না। এটি অমানবিক ও অমর্যাদাকর। নন-ক্যাডারদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে— ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য চাকরির প্রারম্ভিক বেতন অভিন্ন অষ্টম গ্রেড, ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ইত্যাদি। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— আজ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ, ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ ঘণ্টা করে কর্মবিরতিসহ ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান। এর মধ্যে দাবি মেনে নিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
এদিকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালসহ চার দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, উপজেলা পরিষদে ইউএনওর কর্তৃত্ব বাতিল ও নন-ক্যাডার বৈষম্য দূর করা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে যে সমন্বয় আনা হয়েছিল আমলাতন্ত্রের একটি কুচক্রী মহল সরকারকে বিব্রত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে সেটা ভেঙে দিয়েছে। ক্যাডার-নন ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টির কারিগর ষড়যন্ত্রকারী আমলাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান তারা। ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।