বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নতুন করদাতার সন্ধানে এনবিআর টার্গেট ৫ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ৫ লাখ নতুন করদাতার সন্ধানে আয়কর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে করভিত্তি সম্প্রাসারণের লক্ষ্যে চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এই নতুন করদাতার সন্ধানে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে এনবিআর। এরই অংশ হিসেবে গতকাল কেরানীগঞ্জে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে করজাল সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করে ঢাকার কর অঞ্চল-৪। কর কমিশনার আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্র্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। আরও বক্তব্য দেন এনবিআরের শুল্কনীতি সদস্য (গ্রেড-১) ফরিদউদ্দীন, সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) লোকমান চৌধুরী ও সদস্য (ট্যাক্সেস লিগ্যাল এন্ড এনফোর্সমেন্ট) ড. মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগের কমিশনার জিল্লুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস. এম. মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ প্রমুখ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ সভায় নতুন করদাতাদের কর নিবন্ধনের সনদ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ এমপি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ হলেও প্রকৃত আয়কর প্রদান করেন প্রায় ১২ লাখ করদাতা। দেশের অনেকে আয়কর প্রদানে সক্ষম হলেও নিবন্ধিত করদাতা হিসেবে কোনো আয়কর প্রদান করেন না তারা। দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের মানুষকে কর প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কেরানীগঞ্জের উন্নয়নের জন্য সরকার বিগত দুই বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি ব্যয় করেছে। কিন্তু বিনিময়ে ৮ কোটি টাকা কর দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, অচিরেই এই করের পরিমাণ কয়েকগুণ হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ নিয়ে বিনিয়োগকারীগণ আসছেন। ঢাকা থেকে মাওয়া সেতু পর্যন্ত ফ্লাইওভার হবে। এ উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অর্থ জোগান দেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন।

ফরিদ উদ্দীন বলেন, এনবিআর বর্তমান সরকারের শেষ মেয়াদে অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯ সালে সক্রিয় করদাতার সংখ্যা বর্তমানে ১২ লাখ থেকে ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বর্তমান বছরে সারা দেশে ৫ লাখ নতুন করদাতা চিহ্নিত করার জন্য আয়কর বিভাগ কাজ করছে।

জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারের জনকল্যাণমুখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে এবং একটি আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আইন অনুযায়ী সবাইকে রাজস্ব প্রদান করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এস. এম. মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস করা ও আত্ম-মর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারকে রাজস্ব প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর