শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

খাবার নিয়ে এত প্রতারণা!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ফ্রিজে পণ্য রাখা হয় মান রক্ষার জন্য। কিন্তু ফ্রিজই নোংরা। একসঙ্গে রাখা হয়েছে মাছ, মাংস, কাঁচা চপ, কাবাব, ডালসহ নানা খাবার। খাবার সংরক্ষণের ফ্রিজটিই যেন একটি ‘ডাস্টবিন’। সঙ্গে আছে পোড়া তেল, দীর্ঘদিনের পচা ও বাসি পুরনো জিলাপির রস। নগরের আলকরণ মোড়ে মালঞ্চ ফুড কর্নারের ফ্রিজের চিত্র এটি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব নোংরা চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে, লালখান বাজার এলাকার নিউ সুইচ কেয়ার বেকারি অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরি, পোড়া-কালো রঙের পাম অয়েল, খালি হাতেই ক্রিম মেশানো, যত্রতত্র ডালডা ঘি মাটিতে ফেলে রাখা, ডালডা দীর্ঘদিন খোলা অবস্থায় ফেলে রাখায় ময়লা জমা, বেকারি পণ্যে দীর্ঘদিনের ব্যবহার করা মিষ্টির রস ব্যবহার, উৎপাদিত পণ্যে মেয়াদ-তারিখ না থাকা, ডালডার সঙ্গে চিনি দিয়ে বাটার বানানো ও ছত্রাক পড়া বেকারি পণ্য পাওয়া যায় এখানে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব অনিয়ম দেখতে পান। এ ছাড়া অভিযানে দেখা যায়, পাত্রে পোড়া মবিল, পোকামাকড়যুক্ত মিষ্টির রস, জিলাপির খামির, নানা ধরনের ফাস্টফুডের পচা কাঁচামাল-পুরনো সস, দীর্ঘদিনের পুরনো পোড়া তেল দিয়ে ভাজা হয় সমুচা, কাবাব। যা দেখতেই পোড়া মবিল। এভাবে খাবারের দোকানে নিত্য চরম অনিয়ম করে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। প্রতারণা করছেন ভোক্তাদের সঙ্গে। হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা স্বাস্থ্য। অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, খাবারে এত ভেজাল-অনিয়ম হচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে কারও বিশ্বাস হবে না। অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে এতসব প্রতারণা দেখছি।   সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, এসব খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষের শরীরে বহুমুখী সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে। এর মধ্যে স্থায়ী কিডনি সমস্যা, ক্যান্সার, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, চর্ম, শ্বাসকষ্ট, জীবাণু সংক্রমণ, জন্ডিস, হেপাটাইটিস, গ্যাস্ট্রিক-আলসারসহ নানা রোগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর