যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দেশব্যাপী পালিত হয়েছে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত। গত রবিবার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় রাতভর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন ছিলেন। মুসলমানদের জীবনে যে তিনটি রাতকে আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত বা শবেবরাত তার মধ্যে অন্যতম। এ রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, পরবর্তী বছরের হায়াত, মউত, রিজিক, দৌলত, আমল প্রভৃতি যাবতীয় আদেশ-নির্দেশ এ রাতেই ফায়সালা করা হয়। অনেকে দান-খয়রাত ও কবর জিয়ারত করেন। অনেকে প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মধ্যে হালুয়া-রুটি বিতরণ করেছেন। রাতভর ইবাদত বন্দেগির পর ফজরের নামাজের শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদগুলোতে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিগত দিনের পাপ থেকে মুক্তি ও জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। জাতীয় মসজিদের মোনাজাতে প্রাকৃতিকসহ যাবতীয় দুর্যোগ ও অশান্তির হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য দোয়া করা হয়। এ ছাড়া মহিমান্বিত এ রাতের ইবাদত বন্দেগি ও আল্লাহর দরবারে পানাহ চাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে সিয়াম সাধনা বা আত্মসংযমের মানসিক প্রস্তুতি। গতকাল শবেবরাতের নফল রোজাও রেখেছেন অনেকে। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে গতকাল ছিল সরকারি ছুটি। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই মুসল্লিরা শবেবরাতের ইবাদত করতে মসজিদে চলে আসতে শুরু করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদ ও কবরস্থানে বাড়তে থাকে মুসল্লিদের ভিড়।