আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাহাড়ে শান্তিচুক্তির পর আমরা এখানে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজসহ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নকাজ হচ্ছে। শুধু খাগড়াছড়ি জেলায় ৬২টি নতুন ব্রিজ স্থাপন করে এখানকার যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির রূপকার ও বাস্তবায়নকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাহাড়ের মানুষের জন্য যে মমতা ও দরদ রয়েছে তার প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে প্রতিটি উন্নয়ন খাতে। গতকাল খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৪৩টি ব্রিজ, ১৩টি কালভার্ট নির্মাণ করেছি। এ জনপদের মানুষকে পিছিয়ে থাকতে দেওয়া হবে না। উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার দারিদ্র্য জাদুঘরে পাঠানো হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি পাহাড়ের কান্না, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, বঞ্চিত মানুষের কথা জানি। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এখানে রাতারাতি কিছু হয়নি।
শান্তিচুক্তির আগের ও পরের খাগড়াছড়ির প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন করবেন আপনারাই। এসবের বিনিময়ে ২০১৯ সালে আমরা কিছু পেতে চাই। নতুন করে কাউকে ভোট দেবেন না। ভোট দেবেন যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ছে তাদের।’ তিনি খাগড়াছড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলমের মতবিরোধ নিরসনে দুজনকে মঞ্চে হাতে হাত রেখে মিলিয়ে দেন। এ সময় মেয়র মো. রফিকুল আলম ফুলসজ্জিত নৌকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাংজরি চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম। এর আগে মন্ত্রী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে এসে পৌঁছান এবং বাস টার্মিনালে এক কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন।