বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আতঙ্কিত সাংবাদিক নাজমুলের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদার পরিবার আতঙ্কিত। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরনা দিয়েও নাজমুলের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। পরিবারের অভিযোগ, হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় নাজমুলকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ নির্যাতন করছে। এদিকে, নাজমুলকে গ্রেফতারের পর পরিবারের এক সদস্যকে পুলিশ পরিচয়ে টেলিফোনে হুমকিও দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে নাজমুলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, রিমান্ডের প্রথম দিন গতকাল সন্ধ্যার পর নাজমুল অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্থানীয় প্রাইম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, সন্ধ্যায় নাজমুল অসুস্থ বোধ করছে বলে পুলিশকে জানায়। তখন তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। নাজমুলের স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা শিল্পী জানান, সম্পদ (১১) ও সমৃদ্ধ (২) নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর নাজমুল গ্রেফতারের পর তিনি দুই  সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কিত। কেউ তার পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরনা দিলেও নাজমুলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারিনি। শুনেছি তাকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, রিমান্ডে নাজমুলকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নাজমুল ২০০২ সাল থেকে সাংবাদিকতা করছেন। কখনো সে কারও ক্ষতি করেনি। যেখানেই সংবাদ সেখানেই ছুটে গেছে। সব সময় সত্যের পক্ষে থেকেছে। সে ভালো কাজের মাধ্যমে সাভারের নিপীড়িত মানুষের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। কেউ এসব কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে নাজমুলকে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। নাজমুলের ছোটভাই কামরুজ্জামান বলেন, ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে একটি বিটিসিএল-এর (০২-৭৭৪৫৪০৪) নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন আসে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে কথা বলে এবং নানাভাবে শাসায়। এক পর্যায়ে বলে, ‘তোর কত বড় সাহস, পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলিস। তুই সন্ধ্যার মধ্যে আশুলিয়া থানার এসআই শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে দেখা করবি। তা না করলে উঠিয়ে আনা হবে’—এভাবে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয় বলে জানান নাজমুলের ভাই কামরুল। এ বিষয়ে গতকাল রাতে ঢাকা জেলার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, নাজমুল আমাদের জানায়, তার উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস রয়েছে। এটা মাপা ছাড়া সে ভাত খেতে পারে না। এজন্য তাকে স্থানীয় প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ডাক্তার তার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন এবং বেশকিছু ওষুধ লিখে দেন। এ ছাড়া নাজমুলের আর কোনো সমস্যা নেই। তিনি ভালো আছেন।

সর্বশেষ খবর