বসুন্ধরা সিমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হলো ‘লাইফ লাইন ফর ঢাকা’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। এতে প্রদর্শিত হচ্ছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ হিসেবে পরিচিত দেশের প্রথম মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনের নকশাসমূহ।
গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উদ্যোগে রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেসে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেন। আয়োজকরা জানান, ২০২৩ সালের মধ্যেই মেট্রোরেলের প্রথম নির্মাণ পর্ব সম্পন্ন হবে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যেই নগরবাসী উপভোগ করবেন এ প্রকল্পের যাতায়াত সুবিধা। কিন্তু কেমন হবে এই মেট্রোরেল? প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত যাত্রাপথে সত্যি কি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন নগরবাসী? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই এ প্রকল্পের নকশার বিস্তারিত জানাতে উদ্যোগ নিয়েছেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। নগরবাসীর কাছে মেট্রোরেল প্রকল্প এবং নগর উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরাই এ প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।
বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা নিলুফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা সিমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সরজ বড়ুয়া, আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস।উল্লেখ্য, জাইকার অর্থায়নে উত্তরা-মতিঝিল ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল রুটে ব্যয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এই যাত্রাপথে ১৬টি স্টেশন থাকবে—উত্তরা নর্থ, সেন্ট্রাল ও সাউথ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্রুতগতির মেট্রোরেলে প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে থেমে প্রতি ঘণ্টায় এটি ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এটি চালু হলে যানজট থেকে মুক্তি মিলবে ক্রমবর্ধমান এই নগরবাসীর। প্রদর্শনীটি চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা, বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা এবং সোম ও মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে।