শুধু মা-বাবার হাতেই ২০১৬ সালে নিহত হয়েছে ৬৪ জন শিশু। প্রতি মাসে গড়ে পাঁচজন শিশু মা-বাবার নির্মমতার বলি হয়। আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মা-বাবার হাতে শিশু হত্যা। এসব হত্যার বিচারের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিচারহীনতা ও বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ)। শিশু অধিকার পরিস্থিতি-২০১৬ পর্যালোচনা করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এসব তথ্য জানায় তারা।
জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকে বিএসএএফ। তাদের হিসাব বলছে, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৫৮৯ জন শিশু সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৪১ জনের অপমৃত্যু ঘটে। আর যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ৬৮৬ জন শিশু। ২০১৫ সালে সহিংসতা ও নির্যাতনের মোট ঘটনা ছিল ৫ হাজার ২১২টি।
২০১৬ সালে ৬৪ জন শিশু মা-বাবার হাতে খুন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি। ২০১৫ সালে এর সংখ্যা ছিল ৪০। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হাতে শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে। ২০১৬ সালে ২৬৩টি শিশু এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়। বেড়েছে স্কুলগামী কিশোরীদের ওপর বখাটেদের অত্যাচার-নির্যাতন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। সামাজিক সচেতনতা, প্রতিবাদ প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে শিশু নির্যাতন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত বছর ১৮৩ জন শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৩১ জনকে উদ্ধার করেছে। শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তুলনামূলক বেড়েছে।