বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বরেণ্য গীতিকার কুটি মনসুর আর নেই

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বরেণ্য গীতিকার কুটি মনসুর আর নেই

অগণিত ভক্ত ও সংগীতাঙ্গনের মানুষকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য গীতিকবি কুটি মনসুর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। কুটি মনসুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। গুণী এই গীতিকারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার বড় ছেলে খান মোহাম্মদ মজনু বলেন, ২২ ডিসেম্বর ঢাকার রামপুরার বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কুটি মনসুর। তিনি আরও জানান, আজ ঢাকার দোহারে কুটি মনসুরের শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।

১৯২৬ সালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার লোহারটেক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লোকজ গানের জগতের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি কুটি মনসুর। দীর্ঘ ৬০ বছরের সংগীত জীবনে পল্লীগীতি, আধুনিক, জারি-সারি, পালাগান, পুঁথিপাঠ, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, মারফতি, আধ্যাত্মিক, দেহতত্ত্ব, হামদ-নাত, ইসলামী প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় ৮ হাজার গান লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘আইলাম আর গেলাম’, ‘যৌবন জোয়ার একবার আসে রে’, ‘আমি কি তোর আপন ছিলাম না রে জরিনা’, ‘কে বলে মানুষ মরে’, ‘হিংসা আর নিন্দা ছাড়ো’, ‘সাদা কাপড় পরলে কিন্তু মনটা সাদা হয় না’ ইত্যাদি।

তার কথা ও সুরে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পীরা। তাদের মধ্যে আছেন সৈয়দ আবদুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, নীনা হামিদ, রথীন্দ্রনাথ রায়, ফকির আলমগীর, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফিরোজ সাঁই, মুজিব পরদেশী প্রমুখ।

অসুস্থ হওয়ার প্রায় দুই মাস আগে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় কুটি মনসুরের লেখা ‘আমার বঙ্গবন্ধু, আমার একাত্তর’ নামের একটি বই।

সর্বশেষ খবর