রাজধানীর লালবাগ ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সাত শহীদ কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক, কবরস্থান অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেন্টারের নিচতলা মোটরসাইকেলের গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও নেই। পার্ক ও কবরস্থানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গানবাজনা। উল্লেখ্য, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডটি নবাবগঞ্জ, ডুরি আঙ্গুল লেন, নতুন পল্টন, লালবাগ রোড, আবদুল আজিজ লেন, ললিতমোহন দাস লেন নিয়ে গঠিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কমিউনিটি সেন্টারটি চলছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সাত শহীদ কমিউনিটি সেন্টারটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো উচিত। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে উদাসীন। নবাবগঞ্জ পার্কটিরও সংস্কার প্রয়োজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নবাবগঞ্জ পার্কে বসার পরিবেশ নেই। নিউ পল্টনে নির্মিত ইরাকি কবরস্থানের এক পাশে বাসাবাড়ির ময়লা ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গন্ধে পথচারীদের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বিকালে কবরস্থানে শুরু হয় বিভিন্ন বয়সের মানুষের আড্ডা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বখাটেদের আড্ডা। দেখা গেছে, কবরস্থানটির প্রায় অর্ধেক দখল করে খেলার মাঠ তৈরি করেছেন স্থানীয়রা। সেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিদিনই পসরা সাজিয়ে বসা হচ্ছে। কয়েকজন প্রভাবশালী এ তত্পরতার সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, ইরাকি কবরস্থানে স্থানীয়রাই ময়লা ফেলেন। নিষেধ করার পরও বিরত হচ্ছেন না। কবরস্থানের বর্জ্য ও ময়লা সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়িত্বহীন আচরণ করছেন। স্থানীয় মো. আলাউদ্দিন জানান, অপরিকল্পিত ড্রেনেজের কারণে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে ড্রেন ভর্তি থাকছে ময়লা ও বর্জ্যে। ডুরি আঙ্গুল লেন ও নবাবগঞ্জ দ্বিতীয় লেনের কয়েকটি এলাকায় রাতে বাতি জ্বলে না। এ সমস্যা সমাধানে দায়িত্বশীলদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ : ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনে তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘থমকে আছে উন্নয়ন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিবেদনে কিছু অসত্য ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে তার কোনো বক্তব্য ছাপা হয়নি। এলাকায় তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : ১৮ জানুয়ারি থেকে সাত দিন পর্যন্ত তার (০১৯১২৫৯২৭৮৩) মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন করলেই ওয়েলকাম টিউনে সংগীতশিল্পী হাবিবের একটি জনপ্রিয় গান শুনতে পাওয়া যায়। অবশেষে কথা বলার জন্য এসএমএসও পাঠানো হয়। তবে সাড়া মেলেনি। পরে মীরহাজিরবাগে আল-হেরা ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থিত তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই কার্যালয়ে কর্মরতরা তার সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এলাকার উন্নয়ন থমকে যাওয়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে তা ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে। এতে মনগড়া কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি।