সোমবার, ২২ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

বেদখল সম্পদের খোঁজে চসিক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বেদখল সম্পদের খোঁজে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩৫ একর। কিন্তু এর বাইরে অনেক সম্পত্তি বেদখল, পরিত্যক্ত ও বেহাত হয়ে যাওয়ার পথে। অবশেষে চসিক বেদখল হতে যাওয়া সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে। গত রবিবার থেকে চসিকের রাজস্ব বিভাগ এ কার্যক্রম শুরু করে।

অভিযোগ আছে, চসিকের মোট ভূ-সম্পত্তি আছে ২৩৪ দশমিক ০৮০০ একর। কিন্তু এর বাইরেও কিছু ভূ-সম্পত্তি বেদখল, কিছু মামলার জালে আটকা, কিছু তদারকির অভাবে পরিত্যক্তসহ নানাভাবে বেহাত হওয়ার পথে। তা ছাড়া চসিকের আইন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অবহেলা এবং যথাসময়ে আদালতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ না করায় অনেক সম্পত্তি চসিকের হাতছাড়া হয়ে যায়। এবার চসিক ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারে ওয়ার্ডভিত্তিক সম্পত্তির একটি তালিকা তৈরি করেছে। তালিকা মতে, প্রতিটি ওয়ার্ডের সম্পত্তির মধ্যে কোনটির কী অবস্থা তা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে।

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ৪১ ওয়ার্ডে চসিকের সম্পত্তি নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছি। তালিকা মতে সম্পত্তিগুলো আছে কিনা তা সরেজমিন গিয়ে যাচাই করব। গত রবি ও সোমবার থেকে আমরা কর্মসূচি শুরু করেছি। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আমরা বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করব। এর পরই সম্পত্তিগুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।  চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রণীত তালিকা মতে চসিকের পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সম্পত্তির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭১ একর, জালালাবাদ ওয়ার্ডের ২১ দশমিক ৩৯৫ একর, পাঁচলাইশের ১ দশমিক ৮০২৫ একর, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের ১০ দশমিক ৬৮ একর, মোহরা ওয়ার্ডের শূন্য দশমিক ৫১ একর, ষোলশহরের শূন্য দশমিক ১৫৮৫ একর, পশ্চিম ষোলশহরের ২ দশমিক ৪৩ একর, শুলকবহরের ৩০ দশমিক ০১ একর, উত্তর পাহাড়তলীতে ২৮ দশমিক ৮২৫ একর, উত্তর কাট্টলিতে শূন্য দশমিক ০৫ একর, দক্ষিণ কাট্টলিতে ১৮ একর, সরাইপাড়ায় ১ দশমিক ০৫ একর, পাহাড়তলীতে ৫ দশমিক ৩৮৭৭ একর, লালখান বাজারে ১০ দশমিক ৬৪৯৭ একর, বাগমনিরামে ৪ দশমিক ৭৫৩১ একর।

সর্বশেষ খবর