রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে দাবদাহ। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না কেউই। দিনের বেলা রোদের কারণে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অল্প বয়সের শিশুরা গরম ও তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বয়ে যাওয়া মৃদু দাবদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঢাকা ও খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই দাবদাহ এ মৌসুমের চতুর্থ। গতকাল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ সপ্তাহের সর্বোচ্চ। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, শনিবার  থেকে এই দাবদাহের কারণে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি অন্যত্র ঝড়ো আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজও ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুকনো থাকতে পারে। থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু দাবদাহ বলেন। তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি দাবদাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র দাবদাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি তীব্র এবং অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।