নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৪ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত আইন স্বাধীন বিচার বিভাগের সম্মুখভাগে আঘাত। ১১ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) সদস্য। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার আলোকে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটকে আলাদা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ সংক্রান্ত ২০০৯ সালের ৫৯ নম্বর আইন সংবিধানের লঙ্ঘন, যা বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের ওপর সম্মুখভাগে আঘাত এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থী। জানা গেছে, ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।