বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঈদের বন্ধে তিন খুন রাজধানীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরের বন্ধে রাজধানীতে তিনজন খুন হয়েছেন। নিহতরা হলেন বনানীতে ডিস কর্মচারী শফিকুল ইসলাম (২৫), কদমতলীতে ভারসাম্যহীন সজীব (২৩) এবং মোহাম্মদপুরে শামীম (৩০)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে তাদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পুলিশ বলছে, কদমতলীর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদের দিন রাতে বনানীর মহাখালী দক্ষিণপাড়ায় ডিস কর্মচারী শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার অজ্ঞাতদের আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেছেন। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দক্ষিণপাড়ার ৯২/২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। নিহতের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন স্ত্রী ও তাদের মেয়ে ইশনিয়াকে (২) নিয়ে হাতিরঝিল ঘুরতে যান শফিক। রাতে তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে সন্তানের জন্য চিপস কিনতে স্থানীয় দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ৩/৪ দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। থানার এসআই রিপন কুমার তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ঈদের আগের দিন কদমতলীর নতুন শ্যামপুরে সজীবকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের বড় ভাই রাসেল কদমতলী থানায় মামলা করেছেন।

 এ ঘটনায় হাবীব, তার গাড়ি চালক আলমগীর ও কর্মচারী সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের রিমান্ডে আনা হয় জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই দীপঙ্কর জানান, নিহত সজীব কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েক দিন আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে পরিবারের সঙ্গে রাগ করে সে ঢাকায় চলে আসে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন হাবিবুরের প্রাইভেট কারটি সজীবের গা ঘেঁষে চলে যাওয়ায় সজীব গাড়িটিতে থাপ্পড় দেন। এতে গাড়িচালক উত্তেজিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে তাকে চড় দেন। উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে গাড়ির মালিক হাবিবুরের বাসায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে বেধড়ক পিটুনি দিলে সজীবের মৃত্যু হয়।

এদিকে ঈদের আগের দিন ইফতারের আগ মুহূর্তে মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে শামীমকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় জনতা। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, মোহাম্মদপুরে চান মিয়া হাউজিংয়ের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে শামীম নামে ওই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর