শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’। ১৯২১ সালের এই দিনে যাত্রা করেছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠটি। দিবসটি পালন করতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উদ্ভাবন ও উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। দেশসেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে কলাভবন, টিএসসি, কার্জন হলসহ বিভিন্ন হল ও ইনস্টিটিউটে।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন মলে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ওড়ানো, কেক কাটা এবং উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। সেটি টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। দিবসের অন্যান্য কর্মসূিচর মধ্যে রয়েছে : সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার আয়োজিত দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচি নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে হল, বিভাগ ও অন্যান্য অফিস দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাণী প্রদান করেছেন। বাণীতে তিনি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে স্মরণ করেন সেসব শহীদকে, যারা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বাণীতে তিনি বলেন, ‘১ জুলাই এ দেশের ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে। বুদ্ধিবৃত্তিক ও উচ্চশিক্ষিত মানবসম্পদ উন্নয়ন শুধু নয়, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের জাতি গঠনমূলক আন্দোলন-সংগ্রামে পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতৃত্বের অংশীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জাতীয়ভাবে রয়েছে প্রশংসনীয় অবদান।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে শতবর্ষে পদার্পণ করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই লক্ষ্যে একান্তভাবে শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আজকে আমাদের প্রতিপাদ্য “উদ্ভাবন ও উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা”। এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা।’

সর্বশেষ খবর