মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারপরও বার বার কেন ডুবে চট্টগ্রাম নগরী

চার বার ডুবেছে এক মাসেই

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন এবং ৮২১ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রকল্প চলমান। তবুও বার বার ডুবে এই বাণিজ্যিক নগরী। গত এক মাসেই চারবার ডুবেছে। একবারের ক্ষত না শুকাতেই ফের জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের অন্তহীন ভোগান্তি-দুর্ভোগ কুরে কুরে খাচ্ছে। নগরবাসীর অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক পরিকল্পনা নেয় ঠিকই। কিন্তু এসবের কিছু বাস্তবায়ন হলেও অনেক প্রকল্পই আলোর মুখ দেখে না। আর্থিক সংকটেও বাস্তবায়ন হয় না অনেক উদ্যোগ। এর সঙ্গে আছে নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও সংস্কার যথাযথভাবে না করা। আছে কাজ না করে বা অর্ধেক করেই টাকা উঠিয়ে নেওয়ার প্রবণতা। ফলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ধকল নিয়েই নিত্য জীবন পার করতে হয়।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নগরীর নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারে ব্যয় করা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। চসিকের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে ৭১৬ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার প্রকল্পের ২৩৪টি রোড সংলগ্ন ড্রেন, ২২টি ব্রিজ, চারটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। জাইকার অর্থায়নে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখাল, সুরভীখাল, ডাইভারশন খাল ও খাল সংলগ্ন রাস্তা এবং প্রতিরোধ ওয়ালের কাজ চলমান। তাছাড়া চট্টগ্রামে সংসদ সদস্যদের নির্ধারিত প্রকল্প ডোম খালের ওপর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতু।

জানতে চাইলে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন আমার এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ৩২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বহদ্দারহাট বারইপাড়া হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন চলছে। এ প্রকল্পে মন্ত্রণালয় থেকে ৬০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ টাকা ভূমি অধিগ্রহণ কাজে ব্যয় হবে। নতুন খাল খনন প্রকল্প শেষ হলে নগরীর এক অংশের মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন।

তাছাড়া বিমানবন্দর সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে রুবি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি পর্যন্ত রাস্তার অংশে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪ হাজার ৬০০ ফুট ড্রেন নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার দরপত্র ডাকা হয়েছে। জানা যায়, এক মাসের অতিবর্ষণে নগরীর প্রায় ৩০ শতাংশ সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর