সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহাদুর্ভোগের মহাসড়ক

ঢাকা-বরিশাল কুয়াকাটা

রাহাত খান, বরিশাল

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলার মোড় থেকে রূপাতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এবং রূপাতলী টার্মিনাল থেকে র‌্যাব-৮ সদর দফতর পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক এখন মানুষের জন্য দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা এবং দক্ষিণের ৬ জেলার মানুষের ঢাকাসহ সারা দেশে যাতায়াতের একমাত্র মহাসড়কের বেহাল দশায় চরম ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। খানাখন্দে চরম অবনতি হওয়া এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। বেহাল সড়কে চলাচল করতে বিরক্তিকর ঝাঁকুনি খেতে হয় যাত্রীদের। যানের ধীরগতির কারণে মহাব্যস্ততম সড়কের এই অংশে জট লেগেই থাকে সারা দিন। স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে ভরা সড়ক দুটিতে পানি জমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভাগের ৬ জেলার যাত্রীদের। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করে পর্যটকসহ অন্তত ১০ লাখ যাত্রী। বেহাল এ সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এই ভোগান্তি এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন শিকদার জিয়া বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি দফতরে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এ ছাড়াও দক্ষিণের ৬ জেলা বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ছাড়াও আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মানুষ বিভাগীয় নগরীর ওপর দিয়ে যাওয়া এই সড়ক ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নগরীর ওই অংশের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয় বলে জানান কাউন্সিলর জিয়া। দ্রুত সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকবে বলে জানান জিয়া।

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ব্যস্ততম এই অংশ নগরীর মধ্যে থাকলেও এটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তাদের গাফিলতির কারণেই ওই সড়ক পাড়ি দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর