শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

অভিশাপের নাম ইপিজেডের জ্যাম

নতুন করে দুটি ফুটওভার ব্রিজ এবং রাস্তা প্রশস্ত করার অনুরোধ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বিড়ম্বনার অপর নাম যেন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)’র মোড়। এ এলাকায় যাত্রীদের যানজটের কবলে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ মোড়ে যানজটে পড়ে বিদেশগামী কিংবা অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের ফ্লাইট মিস করা নিত্যদিনের ঘটনা। শুধু যাত্রী নয়, যানজট নিরসনের জন্য দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদের জন্যও এ স্পটটি এক আতঙ্কের নাম। তীব্র যানজট নিরসনে কঠোর পরিশ্রম করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক ট্রাফিক সদস্য। তাই এ স্পটে দায়িত্ব পালন করতে চান না ট্রাফিক বিভাগের কেউ কেউ। যদিও দায়িত্ব পালন করতে হয়, তা এক প্রকার বাধ্য হয়ে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, ইপিজেড মোড়ের যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে দুটি ফুটওভার ব্রিজ এবং রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দুটি কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ দুটি কাজ বাস্তবায়ন হলে এ স্পটের যানজট নিরসন হবে।

সরেজমিন জানা যায়, চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম নগরীর ইপিজেড মোড় এলাকা প্রতিদিন সকালে পাঁচ ঘণ্টা এবং বিকালে ছয় ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ে স্থবির হয়ে পড়ে। এ যানজটের জন্য কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন নগর ট্রাফিক বিভাগ ও বিভিন্ন সংস্থা। অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ইপিজেডের কারখানা চালু ও ছুটির পর যাওয়া  আসার সময় শ্রমিকদের রাস্তা পারাপার, অপ্রশস্ত রাস্তা, একই সময়ে ধীরগতি এবং দ্রুতগতির গাড়ি চলাচল, লং বিহাইকেল এবং কাভার্ড ভ্যান চলাচল অন্যতম। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন ও নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইপিজেড মোড়ে তৈরি   করা হয়েছে ইউলুপ। সঙ্গে যাত্রীদের রাস্তা পারাপার করতে তৈরি করা হয়েছে দুটি ফুটওভার ব্রিজ। এতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ যানজট কমেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইপিজেড মোড়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, সিএমপিতে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্টদের পালাবদল করে প্রতিটি স্পটে এক সপ্তাহ করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু ইপিজেড মোড়ে দায়িত্ব পালনকে শাস্তি ও অভিশাপ মনে করে অনেকে।

সর্বশেষ খবর