বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাড়ে ১২ শতাংশ শিশু জন্ম নেয় অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে

গোলটেবিল বৈঠকে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ নবজাতকই অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কারণ এদের প্রত্যেকেই রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি)-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইডব্লিউএমজিএল সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় ডেইলি সান ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এর আয়োজন করে। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ডেইলি সানের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনির আহমেদ। বক্তারা বলেন, প্রতি বছর ৩১ লাখ শিশু জন্ম নেয় যার মধ্যে প্রায় ৪ লাখের জন্ম হয় অপরিপক্ব অবস্থায়। আর এসব নবজাতক আরওপিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। জন্মের এক মাসের মধ্যে চোখের পরীক্ষা করালেই কেবল এ সমস্যা ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আরওপিতে আক্রান্ত শিশুর দুটি চোখই নষ্ট হয় এবং বিশ্বজুড়ে এটিই শিশু অন্ধত্বের বড় কারণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান ও ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মুস্তফা এবং চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এতে বক্তব্য দেন।

বছরে ৪০ হাজার মানুষ নতুন করে অন্ধ হচ্ছে : দেশে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর মধ্যে শুধু কর্নিয়াজনিত অন্ধের সংখ্যা সোয়া ৫ লাখের মতো। যার বেশির ভাগই শিশু, নারী ও দরিদ্র মানুষ। কর্নিয়াজনিত এই সমস্যার সঙ্গে বছরে আরও ৪০ হাজার মানুষ অন্ধ হচ্ছে। অথচ অন্য মানুষের কর্নিয়া সংগ্রহ করে চোখে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অন্ধ মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব জানানো হয়।

এ সময় আরও জানানো হয়, বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে উল্লেখসংখ্যক মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়াই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। এ ছাড়া কর্নিয়া সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক জনমত গঠন, উদ্বুদ্ধকরণ এবং মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহ আন্দোলন জোরদার করা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. জয়নাল আবেদিন, ডা. আবুল খায়ের মো. সালেক, কেরালিঙ্ক ইন্টারন্যাশনালের সিইও দোগলাস জে ফার্লং, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব আই ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ ফ্রাজদাঘি ও রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের সভাপতি রোটারিয়ান সাদাত আর খান।

সর্বশেষ খবর