বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশের পর্যটন শিল্পে এখনো অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এখনো দেশে ই-ট্যুরিজম গড়ে উঠেনি। তাই আমরা বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারছি না। এই সমস্যা নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ পর্যটন খাতের জন্য ই-ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে পিছিয়ে। এ ছাড়া আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। তবে বাংলাদেশ এই খাতে অনেকদূর এগিয়েছে। আমরা বিশ্ব পর্যটন সংস্থার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ট্যুরিজমের চেয়্যারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারের পর্যটন মেলা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে অন্যভাবে তুলে ধরবে। এই মেলার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি হবে। আমাদের নতুন পণ্যকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করে দেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে আমাদের পদক্ষেপ হলো শুধু ট্যুরিস্ট আকর্ষণের দিকটা খেয়াল রাখা। আমরা এখন পুরোদমে তৈরি হচ্ছি। আগামী বছর এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে আরও অগ্রগতি হবে। পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে ষষ্ঠ এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
মেলায় মোট ১২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা ধার্য করা হলেও ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের সুবিধা রয়েছে। প্রবেশকারীদের কুপনের বিপরীতে থাকছে র্যাফেল ড্র। মেলায় অংশ নেওয়া হোয়াইট স্যান্ড রিসোর্টের একটি স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠানটির রিসোর্টে বিশেষ মূল্য ছাড় দিয়েছে। এক লাখ টাকা বুকিং দিলে ৫০ ইঞ্চি টিভি ফ্রি। এ ছাড়াও রয়েছে নানান অফার। সব স্টলেই নানা ধরনের অফার দেওয়া হচ্ছে।এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আহ্বায়ক ও পর্যটন বিচিত্রার আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার’। মেলায় রয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের আকর্ষণীয় ভ্রমণ, হোটেল বা প্যাকেজ বুকিংসহ এয়ার টিকিটের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থাকবে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল শপ ও বিনোদনের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান খান কবির, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ড. মো. নাসির উদ্দিন, ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত রিসাপি সোমার্নো প্রমুখ।