শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বসুন্ধরায় পর্যটন মেলায় ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ যেন বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের সৌন্দর্য দেখতে কোথায় কীভাবে যাওয়া যায় জানতে শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন পর্যটন মেলায়। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পর্যটন মেলায় পর্যটনশিল্পকে তুলে ধরে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো। দুই দিনব্যাপী এ মেলা গতকাল শেষ হয়। কুড়িল বিশ্বরোড-সংলগ্ন আইসিসিবিতে গিয়ে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখছেন। একেকটি স্টল একেক ডিজাইনে সাজানো হয়েছে। এসব স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য অঞ্চল, সিলেটসহ দেশের সব পর্যটন এলাকার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এসব এলাকায় কীভাবে যাওয়া যাবে, কোথায় থাকা যাবে, দেখার বিভিন্ন স্পট সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন স্টল কর্মীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্যাকেজ অফার করেছে। এসব অফারের মাধ্যমে যে কেউ কম খরচে দেশের যে কোনো পর্যটন স্পটে যেতে পারবেন। থাকা, খাওয়া, স্পট পরিদর্শনসহ সব দায়িত্ব নেবে এসব প্রতিষ্ঠান। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনো পর্যটননগরী বা স্পটে যেতে এখানেই বুকিং দেওয়া যায়। বিদেশে ঘুরতে যেতে হোটেল বুকিং, ভিসাসংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এসব স্টলের কোনো কোনোটিতে বুকিং দিলে থাকছে বিশেষ পুরস্কার। এর বাইরেও আছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে বাড়ি বা হোটেলের মালিক হওয়ার সুযোগ। এমনি একটি স্টল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোহানা গ্রুপের আর এফ বিল্ডার্স পর্যটননগরী কক্সবাজারে বৃহত্তম বিনোদন কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১ লাখ টাকার বুকিং দিলে ৫০ ইঞ্চি টিভি ফ্রি।

এ ছাড়া রয়েছে নানান অফার। স্টল কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে কক্সবাজারের একমাত্র ইনফিনিটি সুইমিং পুল, অ্যামিউজমেন্ট জোন। থাকছে আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স ও মিটিং হল। যেখানে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা স্বচ্ছন্দে তাদের ব্যবসায়িক কর্মপন্থা ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। এখানে চাইলে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কক্সবাজারকে আগামীর উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে অংশীদার হবেন আমাদের ক্রেতারা; যারা আগামীর স্বপ্ন সাজাতে আগ্রহী। আমাদের যেসব ক্রেতা প্রকল্প শুরুর সঙ্গে নির্ধারিত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করবেন তারা বিনিয়োগের প্রথম মাস থেকেই মুনাফার ভাগিদার হবেন। আমরা আশাবাদী কক্সবাজারের আগামীর এই অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসবেন সবাই।’

পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে ষষ্ঠ এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার দুই দিনব্যাপী চলে। মেলায় মোট ১২০টি স্টল ছিল। মেলায় প্রবেশকারীদের কুপনের বিপরীতে ছিল র‌্যাফেল ড্র। এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার ও পর্যটন বিচিত্রার আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়ার ট্যুরিজম ফেয়ার। মেলায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে আকর্ষণীয় ভ্রমণ, হোটেল বা প্যাাকেজ বুকিংসহ এয়ার টিকিটের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে।’ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল শপ ও বিনোদনের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর