বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র তালহা খুনের আদ্যোপান্ত

তুহিন হাওলাদার

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র তালহা খুনের আদ্যোপান্ত

‘বন্ধুদের নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আমি ছিনতাই করি। এটা আমার জীবনের চার নম্বর ছিনতাই। গত ৭ অক্টোবর রাত ১১টায় কাপ্তান বাজারে একটি বাড়ির ছাদে আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে বাবা (ইয়াবা) খাই। এরপর টাকা সংগ্রহের জন্য দুটি ছুরি নিয়ে ভোররাতে তিন বন্ধু ওই বাড়ির ছাদ থেকে নেমে যাই। কিন্তু ছিনতাইয়ের সময় এক যুবক বাধা দিতে এলে টোকাই রাকিব ও বেল্লাল ওরফে সবুজ চাকু দিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি আঘাত করে। পরে শুনি ওই যুবক মারা গেছে।’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু তালহা হত্যায় আটক দুই ছিনতাইকারী এভাবেই ঘটনা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, আসামি আবদুর রহমান ওরফে মিলন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘আমার দায়িত্ব ছিল রাস্তার মুখে পুলিশ আছে কিনা তা দেখা এবং পাহারা দেওয়া। এরই মধ্যে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে টোকাই রাকিব ও সবুজ একটি রিকশার গতি রোধ করে। পরে এক পুরুষ ও এক মহিলা যাত্রীর মানিব্যাগ এবং মোবাইল ফোন সেট ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের সময় তাদের চিৎকার শুনে এক যুবক সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এবং আমাদের ইট ছুড়ে মারে। এ ছাড়া সে আমাদের পেছন থেকে ধাওয়া করে। তখন টোকাই রাকিব পেছনে ফিরে ওই যুবককে চাকু দিয়ে হাতে আঘাত করে। পরে বেল্লালও ওই যুবককে আঘাত করে। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। ওই যুবক মাটিতে পড়ে গেলে টোকাই রাকিব পরপর বেশ কয়েকটি আঘাত করে। যুবকটি রাস্তায় পড়ে থাকলে তার পকেট থেকে একটি সনি মোবাইল ও ১১০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে টোকাই রাকিব একদিকে পালায় এবং আমি ও বেল্লাল একসঙ্গে দৌড়ে একটি পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে পালাই। পরে রিকশায় থাকা লোকটি সঙ্গে আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিল্ডিংয়ের সামনে আসে ছিনতাই হওয়া মানিব্যাগ ও কাগজপত্র ফেরত নিতে। এ সময় চাকু বের করে তাদের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যাই।

সর্বশেষ খবর