রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে কোটেশনে। ফলে একই কাজ দেখানো হয়েছে কয়েক দফায়। কখনো ভবন, কখনো রাস্তা সংস্কার আবার কখনো রাস্তা নির্মাণের নামে একের পর টেন্ডার ছাড়া কোটেশনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এই অর্থ তছরুপের নেপথ্যে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একই কাজ বারবার করতে গিয়ে বারবার কোটেশন করতে হচ্ছে। এখানেই উন্নয়ন কমিটির অনুমতি নিয়েই করা হচ্ছে। আমার একার কোনো সিদ্ধান্তে কোনো কাজ হচ্ছে না।’ অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাসভবন নগরীর বেলদার পাড়ায়। ওই বাসভবন ও সীমানা প্রাচীর সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের বিপরীতে সেখানে কয়েক দফায় খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। সবগুলো টাকা খরচ করা হয়েছে কোটেশন করে। সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টেন্ডার ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে করা যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিয়মের মধ্য থেকেই একের পর এক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা।