শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাসপোর্ট অফিসে ৭১ ভাগ সেবাগ্রহীতা অনিয়ম দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার

টিআইবির ১৩ দফা সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ৭১.১ ভাগ সেবাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ সেবাগ্রহীতা ঘুষ দিচ্ছেন, কিছু সেবাগ্রহীতার কাজের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতা অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ পাসপোর্ট অফিসে গড়ে একজন পাসপোর্ট সেবা গ্রহীতাকে ১ হাজার ৮৫৪ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। বরিশাল ‘বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পাসপোর্ট সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

গতকাল সকাল ১১টায় নগরীর সদর রোডের বিডিএস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টিআইবি’র রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আলী হোসেন। তিনি বলেন, নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারীদের মধ্যে ৮৯.৪ ভাগকে গড়ে ৮৯৬ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। এমনকি পুলিশ প্রতিবেদন (ক্লিয়ারেন্স) প্রণয়নে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) কর্তৃক আবেদনপত্রে অযথা ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা বা ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। বরিশাল অফিস থেকে দৈনিক গড়ে ১২৪ জন গ্রাহককে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া এখানে সঠিক সময়ে পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে না। গড়ে একজন গ্রাহককে আট দিন বিলম্বে পাসপোর্ট নিতে হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায়, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫৬.৩ ভাগকে দালালের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল চক্রকে শাস্তির আওতায় আনা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)। সম্মেলনে বরিশাল সনাক সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন, সদস্য প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, প্রফেসর শাহ সাজেদা, নূরজাহান বেগম, সাইফুর রহমান মিরন এবং মো. শাহনূর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর