কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে অফিসে আসার নির্ধারিত সময় থাকলেও যথাসময়ে কর্মস্থলে আসছেন না কিছু ডাক্তার। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। গতকাল হাসপাতালের বহির্বিভাগের অর্থোপেডিক্স বিভাগে এমন চিত্র দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টায় রোগীর প্রচণ্ড ভিড় হয়, কিন্তু কক্ষে কোনো ডাক্তার নেই। ১০৫ নম্বর রুমে কর্মরত ওয়ার্ডবয়কে রোগীরা জিজ্ঞাসা করেন— স্যার কখন আসবেন? উত্তর হলো, ‘টিকিট কেটে লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, ডাক্তার ১১টার পর আসবে।’ এ অবস্থা শুধু ১০৫ নম্বর কক্ষেই নয়। প্রায় প্রতিটি বিভাগের ডাক্তাররা আসেন ১০টার পর, আবার চলে যান দেড়টার মধ্যে। ডাক্তারদের অফিস সময় ৬ ঘণ্টা হলেও, বেশির ভাগ ডাক্তার ৩-৪ ঘণ্টার বেশি হাসপাতালে থাকেন না।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতালে চাকরিরত বেশিসংখ্যক চিকিত্সক বাইরে নিজের চেম্বারে রোগী দেখেন। কোনো কোনো ডাক্তার হাসপাতালে রোগী রেখে নিজের চেম্বারে চলে যান। কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের সেবা পাওয়ার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল কুমেক। একজন রোগী ৪০-৫০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে প্রায় ১ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বহির্বিভাগের টিকিট সংগ্রহ করেন। এরপর ডাক্তারের কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
লাকসাম থেকে আসা জামাল হোসেন নামের এক রোগী বলেন, ‘যাদের টাকা আছে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যান। সরকারি হাসপাতালে আসি বিনামূল্যের চিকিত্সার জন্য। ডাক্তারের জন্য ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর।’কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী জানান, ‘ডাক্তারদের অফিস টাইম হলো সাড়ে ৮টা থেকে আড়াইটা। শীতকালে কোনো কারণে হয়তো ৩০ মিনিট লেট হতে পারে। বেলা ১১টায়ও ডাক্তার থাকবেন না, তা হতে পারে না। যেসব ডাক্তার যথাসময়ে হাসপাতাল আসেন না তাদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’