বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হতে চান আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. আবদুল লতিফ রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ২৪ ডিসেম্বর মামলার রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গতকাল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ জানুুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে দুটি হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২২ নভেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

১১ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া থানার শেখ আবদুর রহিমসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— সামছুর রহমান গাজী ওরফে মেজো ভাই, মো. ওমর আলী ফকির, জাহান আলী বিশ্বাস, মো. আক্কাস সরদার, নাজের আলী ফকির, মো. শাহাজাহান সরদার, আবদুল করিম শেখ, আবু বক্কার সরদার, মো. রওশন গাজী ওরফে রওশন মল্লিক ও মো. সোহরাব হোসেন সরদার ওরফে মুহাম্মদ আবদুল হামিদ ওরফে খুলনার হুজুর। এদের মধ্যে মো. ওমর আলী ফকির ও মো. আক্কাস সরদার পলাতক। বাকিরা গ্রেফতারের পর কারাগারে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, আসামিরা খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস দখল করে রাজাকার ক্যাম্প করেছিল। এ আসামিরা খুলনার রাজাকারদের প্রশিক্ষণ (আনসার ক্যাম্প) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রাজাকারদের যে তালিকা করেছিল, সেখানেও তাদের নাম আছে। গত ১ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর